• সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
জামালপুরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে ভূমি উদ্ধারের দাবী কৃষকদের জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে তরুণ এবং নারী উদ্যোক্তার জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক ১২দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণের উদ্ভোধন জামালপুরে দোস্ত এইট বাংলাদেশ সোসাইটির আয়োজনে এতিম শিশুদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির টাকা প্রদান জামালপুরে এলডিবি মনোনীত জামালপুর সদর আসনে এমপির প্রার্থী আলহাজ্ব মুহাম্মদ  মাসুদ হোসাইনের গণ সংযোগ  মাউশির ডিজি কর্মরত থাকা অবস্থায় ডিজি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবীতে জামালপুরে মানববন্ধন জামালপুরে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন বকশীগঞ্জে নাশকতার অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ আ.লীগের ৩ নেতা গ্রেফতার জামালপুরে জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসবে সাঁতর প্রতিযোগীতা অনুষ্টিত সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে বিএনসিসি প্রাথমিক চিকিৎসা কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে সাংবাদিক লিমনের কারা মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

দেওয়ানগঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলায় মামলা

দেওয়ানগঞ্জ(জামালপুর) সংবাদদাতা
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়া নামের এক সাংবাদিক উপজেলার বীরভবসূর ডাকরাপাড়া গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেন ও তার কতিপয় সহযোগীদের হামলায় গুরুতর আহত হোন। বুধবার ভূক্তভোগী সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়া দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় হামলাকারী বিল্লাল হোসেনসহ কয়েক জনের নামে মামলা দায়ের করেন। সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়া দৈনিক আমার সময়ের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।
জানা যায়, চরভবসূর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. মধু ব্যাপারীর মেয়ে বন্যা বেগম ঢাকায় চাকুরী করেন। সে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়ার দূর সম্পর্কের ভাগিনী। বন্যার ছোট বোন আশা পার্শ্ববতর্ী বীরভবসূর ডাকরাপাড়ার রেজাউল করিম পন্ডিতের ছেলে হাবিল মিয়ার সাথে ২ বছর আগে বিয়ে হয়। এর মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্বে তাদের কয়েক দফা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে এবং পূনরায় বিবাহ বন্ধন ঘটানো হয়।
ঘটনার দিন সোমবার বন্যা রাতে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়াকে মোবাইল ফোনে জানান, ৩দিন থেকে তার ছোট বোন মোছা. আশা আক্তারকে তার স্বামী বীরভবসূর ডাকরাপাড়া গ্রামের মো. হাবিল মিয়ার বাড়ীতে পাওয়া যাচ্ছেনা। এ খবরের ভিত্তিতে লিটন মিয়া আরো দুইজন সাংবাদিককে নিয়ে ঘটনা স্থলে গেলে বন্যা মোবাইল ফোনে আরো জানান, আশা আক্তার বীরভবসূর ডাকরাপাড়া গ্রামের মো. হুসেন আলীর ছেলে মো. বিল্লাল হোসেনের বাড়ীতে ৩দিন থেকে গোপনে অবস্থান করছে এবং বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়া দুইজন সাংবাদিকসহ স্থানীয় আরো কয়েক জনকে নিয়ে বিল্লালের বাড়ীতে যান। বিল্লালের বাড়ীতে গেলে বিল্লাল জানান, আশা আক্তার তার বাড়ীতে আসেনি। তখন সাংবাদিকগণ সেখান থেকে ফেরত এসে আশার বাবা মধু ব্যাপারীর বাড়িতে ফিরে যান এবং আশা আক্তারের বাবার বাড়ীর আশেপাশের লোকজনদের সাথে আলোচনা করেন। এরই মধ্যে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়া গোপন সূত্রের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পূনর্বার বিল্লাল হোসেনের বাড়ীতে গেলে আশা আক্তারকে পান। সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়া আশা আক্তারকে বিল্লাল হোসেনের বাড়ীতে অবস্থানের কারণ জানতে চাইলে আশা আক্তার সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়াকে বিল্লাল হোসেনের বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধারের জন্যে বলেন এবং প্রকৃত ঘটনা বলার জন্য আশা সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটনকে পার্শ্ববর্তী তার ফুফুর বাড়ীতে নিয়ে যান এবং ঘটনা বলতে থাকেন।
এ সময় মো. বিল্লাল হোসেন আশা আক্তারকে লুকিয়ে রাখার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন ও আশা আক্তার সম্পর্কে মিথ্যা কুরটনা করে এবং সহযোগী কয়েক জনকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে অতর্কিত ভাবে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়া ও আশা আক্তারের উপর হামলা চালান। এতে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়া গুরুতর আহত হোন। তার সাথে যাওয়া আরো দুই সাংবাদিক সে সময় আশা আক্তারের বাবার বাড়ীতে অবস্থান করে স্থানীয় লোকজনদের সাথে আলাপ করছিলেন। তাদেরকেও বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীরা আক্রমণের জন্যে ধাওয়া করলে তারা সেখান থেকে আশেপাশের লোকজনদের সহায়তায় নিরাপদে চলে আসেন। তাদের হাঁকডাকে আশেপাশে থেকে লোকজন এসে আহত অবস্থায় সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যান।
আহত সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়া বলেন, আমি সহযোগী দুই সাংবাদিকসহ স্থানীয় আরো কয়েক জনকে নিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে গিয়ে আশাকে বিল্লাল হোসেনের বাড়ীতে প্রথমত পাইনি। আশাকে না পেয়ে আমরা আশা আক্তারের বাবার বাড়ীতে চলে আসি। পরে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে বিল্লাল হোসেনের বাড়ীতে পুনর্বার গিয়ে আশা আক্তারকে পাই। এ আক্রোশে বিল্লাল হোসেন আমার উপর হামলা চালায়।
আশা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ লিটন মিয়া আমার দূর সম্পর্কের মামা। সে রাতে তিনি আমার সাথে কোনো প্রকার খারাপ আচরণ করেননি এবং খারাপ নজরেও তাকাননি। বরং আমাকে উদ্ধার করেন। আমাকে লুকিয়ে রাখার বিষয় সম্পর্কে তাকে বলতে গেলে বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীরা আমাদের উপর হামলা চালান।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।